বেতন কাঠামোতে ক্রিকেট ও পুরুষ ফুটবল তারকাদের ধারেকাছেও নেই নারী ফুটবলাররা। রীতিমতো অবহেলিত। তবে সাফ জয়ের পর নারী ফুটবলারদের বেতনের করুণদশা থেকে মুক্তির একটি সুযোগ মিলেছে। সম্মানজনক বেতন চান সাবিনারা।
বর্তমানে নারী ফুটবলারদের মাসিক সম্মানী তিন ক্যাটাগরিতে ১২, ১০ ও ৮ হাজার টাকা করে।
দেশের ক্রীড়াঙ্গনে অন্যতম সেরা সাফল্য উপহার দেওয়ার পর এই সম্মানী বৃদ্ধির দাবিটা তুলতে ভোলেননি জাতীয় নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা।
বেতন বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ অধিনায়কের দাবি— ‘আমরা একটা অঙ্ক বাড়ানোর কথা বলেছি, বাফুফে সেটি দেখবে।’
বাফুফে প্রেসিডেন্টের কাছে সে দাবি তুলেছেন জানিয়ে সাবিনা বলেন, মেয়েদের তো আসলে চাওয়ার শেষ নেই। প্র্যাকটিসের কিছু জিনিস, মেয়েদের বেতন আর আনুষঙ্গিক যে চাহিদাগুলো ছিল সেটি স্যার (সালাউদ্দিন) পূরণ করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। মেয়েদের সম্মানজনক একটা বেতন দেওয়া হবে। আমার মনে হয় ক্রিকেটের পর শুধু ফুটবলাররাই বেতন পায় এবং আমার কাছে সবচেয়ে বড় জিনিস হচ্ছে, সেটি আমি পজিটিভভাবে নিই। কারণ আমি যেটাই পাই সেটি আমার জন্য যথেষ্ট। অবশ্যই যেহেতু মেয়েরা ভালো করছে, সেহেতু আমার মনে হয় আমাদের ভালো কিছু প্রাপ্য। উনারাও মনে করছেন আমাদের বেতনটা বাড়ানো উচিত। তাই দেখা যাক!
শুধু বেতনই নয়, প্রযুক্তির ব্যবহারে অনুশীলনও আরও বেগবান করতে চান তারা। এ জন্য জিপিএস চেয়েছেন সাবিনা।
সাবিনার দ্বিতীয় দাবি, ‘আমরা অনুশীলনে সুবিধার জন্য আরেকটি জিপিএস চেয়েছি। আশা করি, কিছু দিনের মধ্যেই পাব।’
উল্লেখ্য, জিপিএস সিস্টেমে ফুটবলারদের ফিটনেসের লেভেল, গতি ও আন্তর্জাতিক মান থেকে কত পিছিয়ে সেটি পরিমাপ করা যায় সহজেই। ফুটবলারের গলার ওপরে (ঘাড়ে) এক ধরনের কাপড় পরানো হয়। যার মাধ্যমে অনুশীলনে ফুটবলারদের গতি-ফিটনেস লেভেল পরিমাপ করা যায়। এ ছাড়া শারীরিকভাবে কতটা শক্তিশালী তা জানা যায়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।